এম এম লিংকন: [২]পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রথমে যখন বঙ্গবন্ধুর দেখা পেলাম তখন বঙ্গবন্ধু বলেন তুমি কেন এসেছো। তখন আমি বলি স্যার চাকরি ফিরে পেতে এসেছি। তখন বঙ্গবন্ধু বলেন তোফায়েল দেখ, আমাদের ছেলে-মেয়েদের দরকার। এরপরে বঙ্গবন্ধু বলেন, তোমরা যাও আমি দেখছি। 

[৩] মঙ্গলবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। 

[৪] তিনি বলেন, এই কারণে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। আমার মতো ক্ষুদ্র একজন মানুষ বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎ পেয়েছিলাম। তবে, বঙ্গবন্ধু বলার পরও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে আমার চাকরি ফিরে পেতে দুই বছর লেগেছিল। পল্টন ময়দানে দূর থেকে জাতির পিতাকে দেখতাম। কাছ থেকে দেখতে পাব এটা ছিল কল্পনা। আমি এক সময় কেয়ারে চাকরি করতাম, এই সুবাদে টাঙ্গাইলে একবার জাতির পিতার সঙ্গে মিষ্টি খেয়েছিলাম।

[৫] এম এ মান্নান বলেন, পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষ্যমের বিষয়টি আমরা বুঝতে পারি। তখন জাতির পিতা নতুন সূর্য হিসেবে উদয় হন। আমাদের অন্ধকার জাতিকে আলোর পথ দেখান জাতির পিতা।

[৬] আমাকে একটা বিষয় পীড়া দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেটা হলো মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধে যাইনি, বন্দুক ধরিনি। আমি মানুষ হিসেবে ভীতু ছিলাম। 

[৭] জাতির পিতাকে হত্যা আমাদের জন্য লজ্জা ও কলঙ্কের উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এমন জঘন্য কাজ এই পৃথিবীতে আর নেই। বন্ধুরূপী কিছু শত্রু জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। সে সময় মালিবাগে ২০০ টাকায় মেসে ভাড়ায় থাকতাম, তখন সদ্য বিবাহিত জীবন। জাতির পিতার হত্যার কথাটা যখন প্রথম শুনলাম,তখন শোকে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। প্রথমে আমি খবরটা বিশ্বাস করতে পারিনি।  

[৮] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করছি তার মধ্যে জাতির পিতার ছায়া আছে মন্তব্য করে এম এ মান্নান বলেন, তিনি গ্রাম ও শহরের মধ্যে পার্থক্য দেখতে চান না। দেশ থেকে দারিদ্র্য বিতাড়িত করলে-সুখি সমৃদ্ধ দেশ গড়লে জাতির পিতার স্বপ্নপূরণ করতে পারবো। এজন্য চলুন আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া